Rathik's dev blog

অলসতা শুধুমাত্র বিষণ্ণতা ডেকে আনে

Deprressed.jpg
Published on
/5 mins read/---

আমি সাধারণত এমন লেখালেখি করি না। টেকনিক্যাল বিষয়ের বাইরে আমার লেখার ধৈর্য বা ক্ষমতা খুব কম।
আর এখন যখন এই ব্লগটা লিখছি, তখন বুঝতে পারছি — সাহসটা হয়ত একটু বেড়েছে।
হয়ত আমার হার্টবিটও আগের চেয়ে একটু বেশি 😅

ভাষাগত কিছু ভুলভাল হতে পারে, কারণ বাংলায় লিখছি।
ব্যাপারটা এমন না যে ইংরেজিতে লিখলে খুব ঝরঝরে হত — কিন্তু বাংলা টাইপের অভ্যাস একেবারে কম।
সাধারণত Banglish দিয়েই চলে।
চেষ্টা করব AI দিয়ে পরে একটু ঘসেমেজে ঠিক করে নিতে।

এই লেখাটা একদম নিজের জন্যে — একটু হালকা হবার জন্যে।
বড় কোনো শিক্ষা আশা করলে হতাশ হতে পারেন।
একান্তই আমার নিজের অভিজ্ঞতা।
সো, খুব বেশি সিরিয়াসলি না নিয়ে, ইচ্ছা হলে হালকা বিনোদনের মতো পড়ে ফেলতে পারেন। 🎭


২০১৮ থেকে শুরু... 🕰️

২০১৮ সাল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বছরে।
তখন থেকেই ভাবতাম — "চাকরির বাইরে কিছু একটা করব",
যেটা হয়তো একদিন প্যাসিভ ইনকাম হবে, বা একটা সাইড হ্যাসেল।

কাট টু ২০২৫, এপ্রিল।
এই বছরেও সেটা ঠিকভাবে শুরু করতে পারিনি।

কারণ একটাই — অলসতা। 😴


তখন আর এখন ⏳

একটা সময় ছিল, দিনে ১২-১৪ ঘন্টা স্ক্রিনে চোখ 👀
একটা প্রব্লেম নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম 🧩
ফ্রিল্যান্সিং করতাম — ইনকাম কম হলেও খরচ করতে ভালো লাগত 💸
মনে হতো, "চলছে তো... কিছু একটা করছি!" 😌

বিভিন্ন ছোটখাটো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতাম।
তবুও ওই সময়ের আমি, আবার নিজেকেই বকা দিতাম —
কারণ আমি চাইলে অলসতা করতে পারতাম না 😤
অলসতাকে আমি একধরনের লাক্সারি মনে করতাম 💼✨

তখন ইচ্ছা করলেও অলসতা করা যেত না।
আর বাধ্য হয়েই প্রোডাক্টিভ থাকতে হতো 🔄


অলসতা আমার কাছে সবসময় লাক্সারির মত ছিল ☁️
যখন ব্যস্ত ছিলাম, চাইলেও সময় বের করে অলসতা করতে পারতাম না।
আর এখন? এখন অলস হওয়ার সব সুযোগ আছে...
কিন্তু সেই অলসতা আর উপভোগ হয় না 🙃

এক সময় ভাবতাম —
“ইশ্‌... একটু সময় পাই যদি, শুধু শুয়ে থাকতাম!” 🛌
এখন শুয়ে থাকলেও মনে হয়,
"এই আমি কি করছি আসলে?" 😶‍🌫️

না কাজ করছি, না রেস্ট নিচ্ছি —
একটা অদ্ভুত টাইম-লুপে পড়ে আছি,
যেটা না ‘ওয়ার্ক মোড’ না ‘রেস্ট মোড’ —
শুধু ঘোর লাগা মোড 😵‍💫


আমি কী টাইপের অলস? 🛋️

একটু কল্পনা করুন... অলসতা কিন্তু শুধু ঘুমানোর নাম না।
এটা একধরনের মাইন্ডসেট, একধরনের প্যাসিভ রেজিস্ট্যান্স টু লাইফ 😅
কিছু উদাহরণ দেই, বুঝে যাবেন...

  1. গান শুনতে ইচ্ছে করছে —
    কিন্তু ফোনটা হাতের কাছে না, সো গান বাদ 🤷
    "চুপচাপ থাকি, মনের মধ্যে গান বাজুক..." 🎧 (হুদাই 🙄)

  2. টেবিলে বসে কাজ করলে প্রোডাক্টিভ লাগবে জানি —
    কিন্তু বিছানাটা এমন করে ডাক দেয়... যেন বলছে,
    "ভাই, তুই আয়। কোড পরে লেখা যাবে..." 🛏️

  3. আমি চাইলে পুরো ১৬ ঘন্টা বিছানায় কাটিয়ে দিতে পারি 😴
    খাবার? ভাই মোটা মানুষ আমি, খাবার টা একটু কস্ট করে খেয়ে নেই । এইটা পারিনা কিন্তু খাওার শেষে শুধু স্ক্রল, স্ক্রল, একটু ঝিম, আবার স্ক্রল 📱🌀

  4. এমন রেকর্ড আছে —
    পুরো ২ দিন রুমে আটকা,
    সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখিনি ☀️🚫
    দিনরাতের বোধও হারিয়ে ফেলি মাঝে মাঝে।

  5. ফ্রিজের এক গ্লাস পানি খেতে ইচ্ছা করে —
    কিন্তু রান্নাঘর দূরে, তো পিপাসা নিয়ে শুয়েই থাকি 💧🙂
    "তৃষ্ণা শুধু মরভূমির প্রানী দের লাগবে , আমার এত প্যারা নাই"

  6. নতুন সিরিজ দেখতে মন চায় —
    কিন্তু ঠিক কী দেখব ঠিক করতে ৩০ মিনিট লাগে 😵
    আর শেষে দেখি —
    ইউটিউবে আগের দেখা একটা ভিডিও রিওয়াচ করছি 🙈

  7. মাথায় আইডিয়া আসে, লিখে ফেলতে পারতাম —
    কিন্তু "এই তো মাথায় আছে, পরে লিখব..."
    পরে দেখি আইডিয়া হারাইছে, আমিও হারাইছি

  8. মাঝে মাঝে মনে হয় —
    "এই তো, একটু খাওয়া-দাওয়া করে কাজ ফাটায় ফেলব!" 🍛
    খেয়ে দেই ঘুম... আবার ঘুম থেকে উঠে ভাবি —
    "আজ তো গেল, কালকে নতুন করে শুরু করব!" 😴🔁

  9. অনলাইনে শপিং করি —
    কিন্তু অর্ডার প্লেস করতেও আলসেমি লাগে 🛒
    কার্টে যোগ করে রেখে দেই, দিনশেষে কিনিই না 😶‍🌫️

  10. কাউকে রিপ্লাই দিতে মন চায়,
    কিন্তু "এই তো একটু পরে করব..." বলে রেখে দেই।
    পরে দেখি, ৭ দিন হয়ে গেছে —
    আর রিপ্লাই না দিয়ে "সোশ্যাল গিল্টি গোস্ট" হয়ে গেছি 👻📱


অলসতা কি তাহলে আমার সুপারপাওয়ার? 🦸‍♂️

না, দুঃখিত। এটা কোনো লুকানো ট্যালেন্ট না 😅
আমি অলস বলে যে দার্শনিক হয়ে গেছি, এমন না।
বরং অলসতা আমাকে একটা বিরক্তিকর মেন্টাল জোনে রাখে, চরম বিষণ্ণতা এনে দেয় —
যেখানে আমি কিছু করিও না, আবার বলতেও পারি না “আমি বিশ্রাম নিচ্ছি।”

অলসতা একসময় ছিল "ডিজার্ভড ব্রেক" —
আর এখন হয়ে গেছে আমার ডিফল্ট মোড 😩

তবুও... এই লেখাটা লিখে মনে হচ্ছে —
হয়তো অলসতার দেয়ালে ছোট্ট একটা আঙুল দিয়ে খোঁচা দিতে পেরেছি।
একটু আলো ঢুকছে... 🌤️
আর হয়তো এই আলোয় বসে আমি আরেকটা টুডু লিস্ট বানিয়ে ফেলব 😌📝 কিন্ত ব্লগ টা পুশ করে একটু রেস্ট নিতে হবে 🤣


"এই লেখাটা যদি এখন পর্যন্ত পড়ে থাকো — তাহলে তুমি দুই ধরনের মানুষের এক জন:

১) তুমি আমার মতোই অলস — তাই এখনো স্ক্রল করছ
২) অথবা তুমি একটু বেশি কিউরিয়াস — তাই স্ক্রল থামাতে পারোনি 😏

In both cases — তুমি লিজেন্ড ব্রোহ 😎 ! chilll "


আর যদি তুমি ভাবো —
"ভাই, এসব তো আমার লাইফে ঘটে না!"
তাহলে either তুমি লাইফে অনেক এগিয়ে,
অথবা তোমার অলসতা এত লেভেলে গেছে যে বুঝতেও পারো না! 🧠


এখন লিখছি... ✍️

এই যে এখন লিখছি —
জানি না, এই মোটিভেশন কতক্ষণ থাকবে।

ডোপামিন ডিটক্স, অ্যাটমিক হ্যাবিটস — মুখস্থ করে ফেলছি।
কিন্তু অ্যাপ্লাই করতে পারিনি।

কমফোর্ট জোন অনেক আগেই চিহ্নিত করতে পেরেছি
কিন্তু খেয়াল রাখতে পারিনি কিভাবে ইউটিলাইজ করব।


এরপর? 🌱

এই লেখাটাই হয়তো একটা ছোট্ট শুরু...
অথবা একটা ছোট্ট গ্যাঞ্জাম — কে জানে! 😅

আজকে এক প্যারাগ্রাফ লিখলাম —
কালকে হয়তো শুধু একটা এমোজি দিব 😶
পরশু আবার হয়তো শুধু টাইপ করব "hmm..." — আর রেখে দিব।

সবকিছু একসাথে পাল্টাতে হবে না —
কারণ আমি জানি, পাল্টাতে গেলে আবার ঘুমিয়ে পড়ব 😴
তাই ভাবলাম, ধীরে ধীরে — আলসেমি-বান্ধব গতি 😌🐢

আজ লিখলাম। কালও হয়তো লিখব...
অথবা শুধু তাকিয়ে থাকব স্ক্রিনে,
আর ভাবব —
বাহ, কি ব্ল্যাঙ্ক স্ক্রিন... ভিজুয়াল স্টুডিওর থিম গুলা সেই, একটু HTML লিখেও একটা ভাব আসে !

আর যদি কিছুই না হয় —
এই লেখাটা পড়ে অন্তত নিজেরে বলব:
"ভাই, সাহস করে কিছু একটা তো লিখছিলি!" 🤙😌